Saturday, January 2, 2021

আমার জন্মদিনে যারা আমাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন,সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ

 


প্রথমেই সকল প্রশংসা জ্ঞাপন করছি সেই মহান আল্লাহ পাকের প্রতি, যিনি আমাকে আপনারা যারা আমাকে উইশ করেছেন আপনাদের ভালোবাসায় সিক্ত ও প্রিয় হওয়ার তৌফিক দিয়েছেন।


গতকাল ছিলো আমার জন্মদিন!

আমার মতো একজন অতিক্ষুদ্র মানুষের জীবনে যদিও জন্মদিনের তেমন কোন গুরুত্ব নেই তবুও আমার সৃষ্টিকর্তা মহান আল্লাহর প্রতি লাখো কোটি শুকরিয়া।

এই পৃথিবীতে এমনি একটি দিনে আমি এসেছিলাম, গতকাল ছিল সেই দিন। সেই জন্য আমি আমার সৃষ্টিকর্তা মহান রাব্বুল আল আমিনের কাছে দায়বদ্ধ। তিনি আমায় সৃষ্টি করেছেন তিনিই আমার রব।

আজ থেকে মৃত্যুর এক বছর কাছাকাছি চলে এলাম!

ইতিমধ্যে অনেকেই আমাকে আমার ফেইসবুকের টাইমলাইন এর শেয়ার অপশন বন্দ থাকার পরেও ভালোবেসে আপনাদের  নিজেদের ফেইসবুক এর টাইম লাইনে, মেসেঞ্জার ও মোবাইলে ফোন করে জন্মদিনের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন আমি সবার মেসেইজ এর উওর দিতে পারি নাই কারণ আমার খালাতো ভাই মারা যাওয়ায় আমি উনাদের বাড়িতে ছিলাম সেখানে নেট এর সমস্যা ছিল সেজন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।প্রথমেই সেই সকল শ্রদ্ধাভাজনদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং আমার অন্তরের অন্ত:স্থল থেকে অফুরন্ত ভালোবাসা ও আন্তরিক অভিনন্দন সহ শুভেচ্ছা জানাচ্ছি কিছু মেসেজ সত্যিই অনেক আবেগের ভালোলাগার ছিলো।আপনাদের এই অফুরন্ত ভালোবাসা আমার হৃদয়ের গভীরে অনাবিল স্থান হয়ে থাকবে। আপনাদেরকে স্মরণ রাখবো আজীবন। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন এই প্রত্যাশা করছি!

ধন্যবাদ সবাইকে

Tuesday, June 23, 2020

সংগ্রাম,উন্নয়ন ও অর্জনের গৌরবদীপ্ত পথচলার ৭১ বছর।

জাহাঙ্গীর আলম;;উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের ৭১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ (২৩ জুন)। ১৯৪৯ সালের এই দিনে পুরান ঢাকার রোজ গার্ডেনে (হুমায়ুন সাহেবের বাড়ি) এক ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে জন্ম হয় ক্ষমতাসীন দলটির। এরপর জাতি গঠনের প্রতিটি সোপানে-স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি ধাপে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে আওয়ামী লীগ।

প্রতিষ্ঠার সময়ে ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ’ নাম ধারণ করলেও ১৯৫৫ সালে এই দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করে। দলের নামকরণ করা হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ’। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে ৬৬-এর ৬ দফা, ৬৯-এর গণআন্দোলনসহ দীর্ঘ সংগ্রামের পর ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা লাভ করে বাঙালি জাতি। পৃথিবীর মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
১৯৪৭ সালে সম্পূর্ণ পৃথক দুটি ভূখণ্ড, স্বতন্ত্র ভাষা ও সংস্কৃতির অঞ্চল নিয়ে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার মাত্র ৪ মাস ২০ দিনের মধ্যে তখনকার তরুণ যুবনেতা শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি গঠন করেন সরকারবিরোধী ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান মুসলিম ছাত্রলীগ। এরই ধারাবাহিকতায় পরের বছর ১৯৪৯ সালের ২৩ জুন ঢাকার স্বামীবাগে কে এম দাস লেনের রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর উদ্যোগে আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে গঠন করা হয় পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ। মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী সভাপতি, টাঙ্গাইলের শামসুল হক সাধারণ সম্পাদক, শেখ মুজিবুর রহমানকে (কারাবন্দি ছিলেন) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক করে গঠিত হয় আওয়ামী (মুসলিম) লীগের প্রথম কমিটি। ১৯৫৫ সালে এই দল ধর্মনিরপেক্ষতাকে আদর্শ হিসাবে গ্রহণ করে। দলের নামকরণ হয় ‘পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী লীগ।’

আওয়ামী লীগের মাধ্যমে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৬৬ সালে বাংলার জনগণকে বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে স্বাধিকার আদায়ের জন্য ঐতিহাসিক ৬ দফা ঘোষণা করেন। সেই ৬ দফা আন্দোলনের পথ বেয়েই ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর নির্বাচনে বাঙালির নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ ও ৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সফল নায়ক ছিলেন তৎকালীন আওয়ামী লীগ সভাপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

৬৬ বছরের পথপরিক্রমায় দেশের বৃহত্তম ও প্রাচীন রাজনৈতিক দলটিকে অনেক চড়াই-উৎরাই পেরুতে হয়েছে। স্বাধীনতার পর ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর অনেকটা অস্তিত্ব সংকটেই পড়ে আওয়ামী লীগ। দলের ভেতরেও শুরু হয় ভাঙন। এরমধ্যে আব্দুল মালেক উকিল-জোহরা তাজউদ্দীনের দৃঢ়তায় সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করে দলটি। ১৯৮১ সালে দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দেশে ফিরতে সক্ষম হন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর এক দশক ধরে সারা দেশ ঘুরে দলকে সংগঠিত করেন তিনি। স্বৈরাচারবিরোধী তীব্র গণআন্দোলনও হয় তার নেতৃত্বে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বেই ২১ বছর পর সরকার গঠন করে আওয়ামী লীগ। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার সরকার গঠন করে দলটি। তখন থেকে টানা তিন মেয়াদে সরকারে রয়েছে আওয়ামী লীগ।

সুদীর্ঘ রাজনৈতিক ইতিহাসে আওয়ামী লীগ ১৯৫৪ সালে (যুক্তফ্রন্ট), ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকার হিসেবে, ১৯৯৬ সালে এবং ২০০৮ সালের নির্বাচনে জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে। ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের স্মরণীয় অধ্যায়ের অবসান ঘটে। এরপর ১৯৮১ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের দায়িত্বে আসেন। তারই নেতৃত্বে চার দফায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার সুযোগ পায়।

এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী হওয়ায় দিবসটি ছিল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। দলটির প্রত্যাশা ছিল জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার; কিন্তু এ বছর মহামারি করোনার কারণে সৃষ্ট সংকটে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সব ধরনের জনসমাগমপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিহার করা হয়েছে। এ বছর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর সাজসজ্জা ও অন্যান্য কর্মসূচির খরচ বাঁচিয়ে তা মানুষের কল্যাণে ব্যয় করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ

Sunday, May 17, 2020

শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন ও আজকের বাংলাদেশ

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম:: জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার পর দীর্ঘ নির্বাসন শেষে দেশে ফিরেছিলেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দিনটি ১৯৮১ সালের ১৭ মে। এরইমধ্যে কেটে গেছে ৩৯ বছর। দীর্ঘ এই সময়ে সভাপতি হিসেবে স্বাধীনতার নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগকে যেমন তিনি এগিয়ে নিয়ে গেছে, তেমনি সফলতার সঙ্গে পরিচালনা করেছেন দেশ। তার যোগ্য নেতৃত্বে চারবার আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।

এই দীর্ঘ সময় দলের প্রধানের দায়িত্বে থেকে নেতৃত্ব দিতে গিয়ে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে শেখ হাসিনাকে। কারাবরণ, জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে অনেক চড়াই-উৎরাই, ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে তিনি আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে এনে দাঁড় করিয়েছেন।

শেখ হাসিনার সফল নেতৃত্বের ফলেই আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেছে এবং বর্তমানে ক্ষমতাসীন। আওয়ামী লীগের এই শাসন আমলেই দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের নতুন মাত্রা সূচিত হয়েছে। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যেই দেশ নিম্নমধ্য আয়ের দেশ  থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি শেখ হাসিনার হাত দিয়েই বাংলাদেশে তথ্য-প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে, ডিজিটাল দেশে পরিণত হয়েছে এবং উন্নত তথ্য-প্রযুক্তির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতার পরাজিত শত্রু ও দেশি-বিদেশি ঘাতকচক্র সপরিবারে হত্যা করে। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা দেশের বাইরে থাকার কারণে প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানাকে তখন দেশে ফিরতে দেয়া হয়নি। দীর্ঘ নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালের এই দিনে ভারত থেকে দেশে ফেরেন শেখ হাসিনা।

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছিল আওয়ামী লীগ। জেল-জুলুম, অত্যাচার, নির্যাতন, নিপীড়নের শিকার হন দলের নেতা-কর্মীরা। আওয়ামী লীগের আভ্যন্তরীণ কোন্দলও প্রকট আকার ধারণ করে। দ্বিধা বিভক্ত হয়ে পড়ে দল। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাসিত জীবনে ভারতে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পান। সে বছর ১৪, ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে তাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয়।

সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন। শুরু হয় আরেক সংগ্রামী জীবন। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানামুখী ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে আজকের অবস্থানে দাঁড় করিয়েছেন তিনি। বহুবার তার প্রাণনাশের চেষ্টা হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। সেই হামলায় তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও আওয়ামী লীগের ২৩ জন নেতাকর্মী শহীদ হন।

এ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি দল ও সরকারের নেতৃত্বে থেকে বাংলাদেশের জন্য বড় বড় অর্জনও বয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা। আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশ তার নেতৃত্বেই এগিয়ে যাচ্ছে। এই ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণা তিনিই দিয়েছেন। মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার গৃহীত বিভিন্ন কর্মসূচি জাতীয় আন্তর্জাতিকভাবে প্রশংসিত হচ্ছে। শুধু বাংলাদেশই নয়, বৈশ্বিক নানা সংকট নিয়ে কথা বলা এবং মতামত দেয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিসরেও শেখ হাসিনার পরিচিতি বেড়েছে।

১৯৮১ সালে দেশের মাটিতে ফিরে এলে ঢাকায় লাখো জনতা তাকে স্বাগত জানায়। এ সময় শেরেবাংলা নগরে আয়োজিত সমাবেশে লাখো জনতার সংবর্ধনার জবাবে শেখ হাসিনা সেদিন বলেছিলেন, ‘সব হারিয়ে আমি আপনাদের মাঝে এসেছি; বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে জাতির জনকের হত্যার প্রতিশোধ গ্রহণে আমি জীবন উৎসর্গ করতে চাই।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘পিতা-মাতা, ভাই রাসেল সকলকে হারিয়ে আমি আপনাদের কাছে এসেছি, আমি আপনাদের মাঝেই তাদেরকে ফিরে পেতে চাই। আপনাদের নিয়েই আমি বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে তার আদর্শ বাস্তবায়ন করে বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই, বাঙালি জাতির আর্থ-সামাজিক তথা সার্বিক মুক্তি ছিনিয়ে আনতে চাই।’

এর পর থেকেই শুরু হয় শেখ হাসিনার নতুন করে আরেক সংগ্রামের পথ চলা। তার নেতৃত্বে দ্বিধা বিভক্ত আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে সামরিক স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামে। তার নেতৃত্বে চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতার মধ্যে বর্তমানে টানা তৃতীয়বার আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আর চারবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া তিনি তিনবার বিরোধী দলের নেতাও ছিলেন।

শেখ হাসিনা নীতি ও আদর্শের প্রশ্নে পিতার মতোই অবিচল, দৃঢ় ও সাহসী। তিনি দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের কল্যাণে যুগান্তকারী অবদান রেখে চলেছেন। ‘রূপকল্প ২০২১’ এর মধ্যম আয়ের বাংলাদেশকে ‘রূপকল্প ২০৪১’ এর বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত, আধুনিক, সমৃদ্ধ, অসাম্প্রদায়িক কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন তার হাত ধরেই বাস্তবায়িত হবে।

Monday, July 22, 2019

আজ এডভোকেট মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার এর জন্মদিন।

আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি এডভোকেট মোল্লা
মোহাম্মদ আবু কাওছার এর জন্মদিন আজ।
সাবেক মেধাবী ছাত্রনেতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ডাকসুর নির্বাচিত সমাজ কল্যাণ বিষয় সম্পাদক ছিলেন।
সৎ পরিচ্ছন্ন কর্মীবান্ধব নির্লোভ জননেতা হিসেবে তিনি সর্বমহলে পরিচিত।
এডভোকেট আলহাজ্ব মোল্লা মোহাম্মদ আবু কাওছার। যার আছে বর্ণাঢ্য ছাত্ররাজনীতির ইতিহাস। ছাত্রনেতা থেকে জননেতা। ১/১১ পরিক্ষিত সৈনিক। জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে এক আপোষহীন নেতা। যার কছে একজন উচ্চ পর্যায়ের নেতার থেকে একজন সাধারণ কর্মীর মূল্য অনেক বেশি। কর্মীদের রয়েছে যেখানে অবাধ যাতায়াত। যার সঠিক নেতৃত্বগুণে স্বেচ্ছাসেবক লীগ, বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে আজ একটি সুসংগঠিত সংগঠন। প্রিয় নেতার আজ জন্মদিন। আল্লাহ’র কাছে আপনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি সবসময়। ভালবাসা নিরন্তর।

Tuesday, December 4, 2018

নৌকা আবেগ ও অনুভূতির নাম। মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

এই নির্বাচনে নৌকাকে বিজয় করতে হলে আমাদের ঐক্যের কোন বিকল্প নেই। বঙ্গবন্ধুর প্রিয় নৌকা প্রতীককে ব্যালেট বিপ্লবের মাধ্যমে রায় দিন।
নৌকা জিতলে শক্তিশালী হবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত। নৌকা জিতলে উন্নত ও মধ্যম আয়ে দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।  নৌকা জিতলে শান্তি পাবে জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মা।  নৌকা জিতলে শান্তি পাবে ৩০ লক্ষ শহীদের আত্মা।  নৌকার বিজয়ের মধ্যদিয়ে যারা এই পর্যন্ত নৌকার পক্ষে জীবন দিয়েছেন তাদের সকলের আত্মা শান্তি পাবে। তাই নৌকাকে বিজয়ী করতে আমরা  ঐক্যবদ্ধ।

আমরা বিশ্বাস করি নৌকা বাঙালীর অস্থিত্বের প্রতীক। নৌকা স্বাধীনতার প্রতীক, নৌকা উন্নয়ন ও স্ব-নির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রতীক, নৌকা সন্ত্রাস ও ইয়াবামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রতীক। শুধু তাই নয় নৌকা স্বদেশ প্রেমে জীবন উৎসর্গ করার এক দূর্নিবার মহাশক্তি। নৌকা প্রেরণা, নৌকাই আবেগ ও নৌকা এক অনুভূতির নাম
। এই নৌকা বঙ্গবন্ধুর, মাওলানা ভাসানির, শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ও ৩০ লক্ষ মুক্তিযোদ্ধের।

তাই তরুণ প্রজন্মকে এই নৌকার বিজয়ে ভূমিকা রাখতে হবে। যতই বাঁধা ও ষড়যন্ত্র হোক না কেন, আমরা তৃণমূল মুজিব আদর্শের সৈনিকরা ঐক্যবদ্ধ। এই ঐক্যবদ্ধের মধ্যদিয়ে আবারো নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনবো। জয় আমাদের হবেই ইনশা আল্লাহ।

Friday, November 9, 2018

দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ আমাদের গ্রহণ করতে হবে। ____জাহাঙ্গীর আলম

বাংলাদেশে সফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিকল্প নেই। কারণ এদেশকে ভালবেসে বিশ্বের কাছে মাথা তুলে জাতিকে দাড় করিয়েছেন। বর্তমান সরকারের বিশ্ব নন্দিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সুনাম বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। দেশরত্ন শেখ হাসিনার আদর্শ আমাদের গ্রহণ করতে হবে। তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আগামীর বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ। ক্ষমতায় শেখ হাসিনা থাকলে বাংলাদেশ এশিয়ার উন্নত দেশ গুলোকে ছাড়িয়ে যাবে ইনশাল্লাহ।
দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শন সারাবিশ্বে আলোচনা হচ্ছে। আগামীর বাংলাদেশ হবে সুখী, সমৃদ্ধশালী এক মানবিক বাংলাদেশ। বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল দেশ হলেও প্রায় ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বিশ্বে এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা বিশ্ব নেতাদের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল  শেখ হাসিনা। দেশে চলমান উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে হলে আবারও আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় আনতে হবে।




Wednesday, November 7, 2018

শেখ হাসিনা আমাদের অমূল্য রতন! _____মোঃ জাহাঙ্গীর আলম

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।আসুন আবারো নৌকায় ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে অধিষ্ঠিত করি।
★জন্মঃ ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৭
★জন্মস্থানঃ টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ
★বঙ্গবন্ধু ও শেখ ফজিলাতুন্নেসার ১ম সন্তান।
★বর্তমান বাংলাদেশের ১৪তম প্রধানমন্ত্রী।
★টিকাটুলি নারীশিক্ষা মন্দির বালিকা বিদ্যালয়। আজিমপুর বালিকা বিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করেন।
★১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা পশ্চিম জার্মানিতে অবস্থান করেছিলেন।
★১৯৭৫ এর পর দেশে ফিরেন- ১৯৮১ সালের ১৭ মে।
★ আওয়ামীলীগ এর সভাপতি হন- ১৯৮১ সালে।
★এ পর্যন্ত তিনবার প্রধানমন্ত্রী হন- ৩ বার। ১৯৯৬-২০০১, ২০০৮-২০১৩, ২০১৪-বর্তমান।
★সময়ের হিসেবে সবচেয়ে বেশি দিন ক্ষমতায় ছিলেন- প্রায় ১৪ বছর।
★তাঁকে হত্যার জন্য সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়- ১৯বার।
★বঙ্গবন্ধুর পর ২য় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জাতিসংঘে বাংলায় ভাষণ দেন।

বিশ্বনেতাদের মধ্যে অবস্থানঃ
★বিশ্বের দীর্ঘস্থায়ী নারী সরকার প্রধান- শেখ হাসিনা।
★বিশ্বের সৎ নেতৃত্বের তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান- ৩য়। বিশ্ব রাজনীতি নিয়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স’ এর গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছিল গত বছর।  পিপলস অ্যান্ড পলিটিকস, বিশ্বের ৫ জন সরকার রাষ্ট্রপ্রধানকে চিহ্নিত করেছেন, যাদের দুর্নীতি স্পর্শ করেনি, বিদেশে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই, উল্লেখ করার মতো কোনো সম্পদও নেই। বিশ্বের সবচেয়ে সৎ এই পাঁচজন সরকার প্রধানের তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৫ টি প্রশ্নের উত্তর খুঁজে নেতৃত্বের সততার মান বিচার হয়েছে। প্রথম প্রশ্ন ছিল, সরকার/রাষ্ট্রপ্রধান হয়ে তিনি কি তাঁর রাষ্ট্রের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট করেছে? দ্বিতীয় প্রশ্ন ছিল, ক্ষমতায় আসীন হবার পর তাঁর ব্যক্তিগত সম্পদ কতটুকু বেড়েছে। তৃতীয় প্রশ্ন ছিল, গোপন সম্পদ গড়েছেন কিনা। চতুর্থ প্রশ্ন সরকার/রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট দুর্নীতির অভিযোগ আছে কিনা। আর পঞ্চম প্রশ্ন ছিল, দেশের জনগণ তাঁর সম্পর্কে কী ভাবেন?

এই ৫ টি উত্তর নিয়ে পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স ১৭৩ টি দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করেছে। এই গবেষণায় সংস্থাটি এরকম মাত্র ১৭ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান পেয়েছেন যাঁরা শতকরা ৫০ ভাগ দুর্নীতিমুক্ত হিসেবে উত্তীর্ণ হয়েছেন। ১৭৩ জন সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের মধ্যে সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সৎ সরকার প্রধান হিসেবে বিবেচিত হয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। ৫ টি প্রশ্নে মোট ১০০ নম্বরের মধ্যে তিনি পেয়েছেন ৯০। সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সিয়েন লং, ৮৮ পেয়ে সৎ সরকার প্রধানদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। ৮৭ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৮৫ নম্বর পেয়ে বিশ্বে চতুর্থ সৎ সরকার প্রধান বিবেচিত হয়েছেন নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী ইরনা সোলাবার্গ। আর ৮১ নম্বর পেয়ে এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্সের গবেষণায় দেখা গেছে, শেখ হাসিনার বাংলাদেশের বাইরে কোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নেই। সংস্থাটি গবেষণায় দেখেছে, বেতন ছাড়া শেখ হাসিনার সম্পদের স্থিতিতে কোনো সংযুক্তি নেই। শেখ হাসিনার কোনো গোপন সম্পদ নেই বলে নিশ্চিত হয়েছে পিপলস অ্যন্ড পলিটিক্স। শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের ৭৮ ভাগ মানুষ মনে করেন সৎ এবং ব্যক্তিগত লোভ লালসার উর্ধ্বে।

★যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সাময়িক ফোর্বসের বিশ্বের ক্ষমতাধর ১০০ নারীর তালিকায় শেখ হাসিনার অবস্থান- ৩০তম।
★২০১৮ সালে টাইম ম্যগাজিনের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় নাম এসেছে- শেখ হাসিনার (লিডার্স ক্যাটাগরিতে ২৭ জন ব্যক্তির মধ্যে তিনি- ২১তম)
★নারী ক্ষমতায়নে ১৫৫ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান- ৭ম

উপাধিঃ
★মাদার অব হিউম্যানিটি- বৃটিশ মিডিয়া চ্যালেন ফোর কর্তৃক (জনাথন মিলার)
★লেডি অব ঢাকা- ফোর্বস কর্তৃক

প্রকাশিত গ্রন্থসমূহঃ
১. শেখ মুজিব আমার পিতা
২. দারিদ্র্য বিমোচন, কিছু ভাবনা
৩. ওরা টোকাই কেন?
৪. বাংলাদেশে স্বৈরতন্ত্রের জন্ম
৫. আমার স্বপ্ন, আমার সংগ্রাম
৬. আমরা জনগণের কথা বলতে এসেছি
৭. সামরিকতন্ত্র বনাম গণতন্ত্র
৮. সাদা কালো
৯. সবুজ মাঠ পেরিয়ে
১০. Miles to Go
১১. The Quest for Vision -2021