Sunday, September 2, 2018

অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার ?

বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কার্য‌নির্বাহী সংস‌দের বর্তমান সভাপতি অালহাজ্ব অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার গোপালগঞ্জ জেলার গোপালগঞ্জ থানার করপাড়া গ্রামে এক সম্ভান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬০ সালের ২৩ জুলাই জন্মগ্রহণ করেন।
তিনি শিক্ষাজীবন গোপালগঞ্জেই শুরু করেন। ১৯৭৭ সালে গোপালগঞ্জ এস.এম. মডেল গভর্ণমেন্ট হাইস্কুল থেকে এস.এস.সি. পাশ করেন। ১৯৭৯ সনে গোপালগঞ্জ সরকারী বঙ্গবন্ধু কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ১৯৭৯-১৯৮০ সেশনে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে আইন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জহুরুল হক হলের আবাসিক ছাত্র হিসাবে ভর্তি হন।

১৯৮১-১৯৮২ সেশনে জহুরুল হক হল ছাত্র সংসদের সমাজকল্যাণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জহুরুল হক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
১৯৮২ সেশনে দেশে সামরিক শাসন জারী কালে সামরিক শাসনের বিরোধীতা করে তার নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জহুরুল হক হল থেকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রথম মিছিল বের হয়।
এবং সামরিক শাসনামলে মিছিল মিটিং ও সমাবেশের উপর সম্পর্ণ নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি মৃত্যুভয়কে উপেক্ষা করে সামরিক শাসন বিরোধী আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে সংগঠিত করা অবস্থায় এরশাদের সামরিক শাসন বিরোধী ১ম ৪৮ ঘন্টা হরতালে দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যাললয়ের নীলক্ষেত এলাকা থেকে সেনাবাহিনী কর্তৃক গ্রেপ্তার হন এবং অমানবিক, অবর্ণনীয় ও নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হন। তাকে দীর্ঘদিন ডিটেনশন দিয়ে জেলহাজতে আটক রাখা হয়। পরবর্তীতে আইনী প্রক্রিয়ায় তিনি মুক্তি পান।
১৯৮৩-১৯৮৪ সেশনে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জহুরুল হক হল শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়ে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত সততা ও দক্ষতা, সাহস ও সুনামের সঙ্গে উক্ত দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৮৯-১৯৯০ সেশনে ছাত্র-সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে সুলতান-মুশতাক প্যানেলে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র-ছাত্রী সংসদ (ডাকসু’র) সমাজসেবা সম্পাদক নির্বাচিত হন।
 তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন নেতা হিসাবে এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসাবে সবসময় বঙ্গবন্ধু কন্যা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরামর্শে সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করতেন।

১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠায় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। উক্ত সংগঠনের তিনি প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য ছিলেন।
প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন (সাবেক সংসদ সদস্য, ধানমন্ডি-মোহাম্মদপুর)।
২০০৩ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটিতে কৃ‌ষি‌বিদ অা ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (বর্তমান এম‌পি) সভাপতি ও পংকজ নাথ সাধারণ সম্পাদক (বর্তমান এম‌পি) নির্বাচিত হন।
তিনি সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ঐ কমিটিতে দীর্ঘদিন তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে সাংগঠনিক দায়িত্ব পালন করেন।
২০০৭-২০০৮ সালে জরুরী অবস্থা চলাকালীন সময়ে সভাপতি কৃ‌ষি‌বিদ অা ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (বর্তমান এম‌পি) দেশান্তর এবং সাধারণ সম্পাদক পংকজ নাথ গ্রেপ্তার হলে ক্রান্তিকালে তিনি সংগঠনের দায়িত্বভার নেন। ২০০৭-২০০৮ সালে জরুরী অবস্থার সময় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এবং বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা জেলে অন্তরীন থাকা অবস্থায় নেত্রীর মুক্তির দাবীতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারোর লক্ষ্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দেশের প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, থানা, জেলা ও মহানগরে সংগঠনের নেতা কর্মীদের সংগঠিত করেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সভানেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও পরামর্শে সংগঠন পরিচালনা করেন এবং নেত্রীর মুক্তির জন্য, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য দূর্বার আন্দোলন গড়ে তুলেন। তিনি উক্ত সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির লক্ষ্যে অন্যান্য আইনজীবিদের সঙ্গে আইনজীবি হিসাবে প্রতিনিয়ত বিশেষ আদালতে মামলা পরিচালনা করেন।
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কৃ‌ষি‌বিদ অা ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম (বর্তমান এম‌পি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হবার পর তিনি স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
২০১২ সালে সম্মেলনের মধ্য দিয়ে তিনি স্বেচ্ছা‌সেবক লী‌গের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং পংকজ নাথ (বর্তমান মাননীয় সংসদ সদস্য) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে তিনি অদ্যাবধি সততা, দক্ষতা, বিশ্বস্ততার সঙ্গে সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন সহ সাংগঠনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন।

তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (অনার্স) এবং এলএলএম উত্তীর্ণ হন। প্রাক্তণ ছাত্র ও ছাত্রীদের সংগঠন বাংলাদেশ আইন সমিতির সাবেক সভাপতি ছিলেন। উল্লেখ্য বাংলাদেশ আইন সমিতির বর্তমানে প্রায় ২৮০০ এর উর্ধ্বে সদস্য রয়েছেন। বাংলাদেশ আইন সমিতির সদস্যগণের মধ্য থেকে মহামান্য জাতীয় সংসদের মাননীয় স্পীকার, একধিক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য, ৩১ জন মহামান্য সুপ্রীম কোর্ট এর বিচারপতি, সিনিয়র সচিবসহ একাধিক সচিব, ২০০-র মত জেলা জজ, প্রায় ১০০০ সদস্য অতিরিক্ত জেলা জজ ও নি¤œ আদালতে বিচারক হিসাবে, প্রশাসন, কাষ্টম্স, পুলিশ ও অন্যান্য ক্যাডারে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীতে জ্যাক ব্যাঞ্চে উর্ধ্বতন পদে, প্রায় ১০০০ সদস্য সুপ্রীম কোর্ট ও বিভিন্ন জেলা জজ কোর্টে দক্ষ আইনজীবি, সরকারী আইন কর্মকর্তা হিসাবেও অনেকেই সফল ব্যবসায়ী হিসাবে কর্মরত রয়েছেন। সদস্যগণের কেউ কেউ পরিবেশ আইনজীবি হিসাবে ও দায়িত্ব পালন করছেন।

তিনি বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা জেলা ইউনিটের ভাইস-চেয়ারম্যানেরও দায়িত্বে আছেন।

 বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের সভাপতি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-ছাত্রীদের সংগঠন ঢাকা ইউনির্ভাসিটি এ্যালামনাই-এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত গোপালগঞ্জের এসএম মডেল সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এ্যালামনাই-এসোসিয়েশন (জেমসা’র) সভাপতি এবং তিনি বাংলাদেশ রোইং ফেডারেশনের সম্মানিত সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।

তাঁর পিতা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মোক্তার আলী মোল্লা প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে অবসরপ্রাপ্ত। মাতা নূরুন্নাহার হেনা গৃহিনী। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত। তার স্ত্রী পারভীন সুলতানা গৃহিনী ও গোপালগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মিন্টু মিয়ার কন্যা। শহীদ মিন্টু মিয়া ৬৮-৬৯ সনে ছাত্রলীগের নেতা ছিলেন এবং তার নেত্তৃত্বে তখন অধিকাংশ মিছিল পরিচালিত হত।

অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার ম‌হোদ‌য়ের এর একমাত্র কন্যা সন্তান ইংরেজী অনার্সে অধ্যয়নরত এবং বিবাহিত স্বামী মাহমুদুল হক একজন বিচারক।

উল্লেখ্য :
২০০৭-২০০৮ সালে জরুরী অবস্থা চলাকালিন সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বর্তমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা জেলে অন্তরীন থাকা অবস্থায় বিশেষ আদালতের সামনে নেত্রীর মুক্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্য আইনজীবিগণের (এডভোকেট সাহারা খাতুন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বর্তমানে মাননীয় সংসদ সদস্য, এডভোকেট ব্যারিষ্টার ফজলে নূর তাপস মাননীয় সংসদ সদস্য, এডভোকেট কামরুল ইসলাম মাননীয় সংসদ ও মাননীয় মন্ত্রী খাদ্য মন্ত্রনালয়) সঙ্গে অ্যাডভোকেট মোল্লা মো. আবু কাওছার ম‌হোদয় ও উপস্থিত ছিলেন।

No comments:

Post a Comment